চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, প্রতিবাদ করায় পিতার উপর হামলার অভিযোগ

Daily Ajker Sylhet

admin

২৯ এপ্রি ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ণ


চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, প্রতিবাদ করায় পিতার উপর হামলার অভিযোগ

ওসমানীনগর প্রতিনিধি:
সিলেটের ওসমানীনগরে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বিচার প্রার্থী হলে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে রবিবার সন্ধ্যায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের রাউৎখাই গ্রামের চান্দাইপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্তাক্ত এবং যৌন হয়রানী করে আসছিলো একই গ্রামের গুনু মিয়ার পুত্র টমটম চালক বিল্লাল আহমদ (৪০)।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশে একটি দোকানে যায় ওই শিক্ষার্থী। দোকান থেকে বাড়ি ফিরার পথে বিল্লাল ওই ছাত্রীকে তার টমটমে তুলে শ্লিলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। মেয়েটি ভয়ে চিৎকার দিয়ে টমটম থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। মেয়ের মা শনিবার রাতে তার স্বামীকে অবগত করলে বিষয়টি জানতে রাত ১১টার দিকে টমটম চালক বিল্লালের বাড়িতে যান মেয়ের পিতা।

সেখানে বিল্লালের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল তার ছোট ভাই আলম আহমদ বোন সাজনা বেগম মেয়ের পিতার উপর হামলা চালায়। ঘর থেকে ধারালো দা এনে বিল্লাল কুপ দিলে মেয়ের পিতার ডান হাতের একটি আঙ্গল কেটে যায় এবং তিনি গুরুত্ব আহত হন। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বালাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে রবিবার সকালে বিল্লাল আহমদসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা।

অভিযুক্তরা হলেন, বিল্লালের ছোট ভাই আলম আহমদ (৩৫) ও বোন সাজনা বেগম(৫০)। অভিযোগ পয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এই বিষয়ে নির্যাতিতার পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি নেক্কার জনক। আমি এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমাকেও মেরে আহত করেছে বিল্লালসহ তার ভাই বোন। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিল্লাল আহমদ তার উপর আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেন।

উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালী উল্যা বদরুল বলেন, আমি ঘটনা জনে মেয়ের বাড়িতে গিয়েছি। মেয়েটি ভয় পাওয়ায় আমি তাকে শান্তনা দিয়েছি। মেয়র পিতা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ঘটনা সত্য হলে আমরা প্রশাসনকে সাহায়তা করবো।

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য রাশেদুল হক বলেন, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

 

Sharing is caring!