সিলেটের প্রকাশ্যে লুট হচ্ছে ‘সাদা সোনা’, ঠেকানোর কেউ নেই!
১৪ নভে ২০২৪, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের সীমান্ত এলাকায় বালু-পাথর লুট নতুন কিছু নয়। ক্ষমতার পালাবদলের পর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ পালটায় মাত্র। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরে সিলেটে সীমান্ত এলাকা থেকে লুট হয়েছে শত শত কোটি টাকার বালু-পাথর। ব্যবসায়ীদের দাবি সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগ নিয়ে একটি চক্র এক কাজ করছে। এসব ঘটনায় নাম উঠে আসছে স্থানীয় বিএনপির নেতাদেরও। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় পদ স্থগিত সহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায়েছে জেলা বিএনপি। আর প্রশাসন বলছে বালু-পাথর লুট বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র। এসব এলাকায় জাফলং, বিছানাকান্দি, সাদাপাথরসহ নানা পর্যটনকেন্দ্রের মূল আকর্ষণ পাথার ও বালু। এসব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন অংশ এবং সংরক্ষিত এলাকা থেকে নির্দ্বিধায় বালু ও পাথর তুলছে শ্রমিকরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগেও সীমান্ত এলাকায় বালু-পাথর লুট হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এসব কোয়ারির থেকে লুট হয়েছে শত শত কোটি টাকার বালু-পাথর। এমকি বাঙ্কারের মেশিন, টিন ও লুট হয়েছে। যা নজিরবিহীন। লুটপাটে বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতা আছে। লুট বন্ধে প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান বা পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
তবে এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানালেন সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।
কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বালু-পাথর লুটের সাথে সম্পৃক্ততা প্রমাণ হওয়ার ইতিমধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে। লুটপাটের সাথে যারাই জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা জানান, আমরা বারবার প্রশাসনকে বলছি সিলেটের ৮টি পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ করা জন্য। প্রশাসন মাঝেমধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে তা যথেষ্ট নয়। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে বালু-পাথর লুটপাট করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে।
সিলেটে জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জানান, সীমান্ত এলাকায় রাতের আধারে অবৈধভাবে বালু-পাথর লুটের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। পাথর লুট বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে মামলা, করা হচ্ছে জরিমানা। নিয়মিত নজরদারির কারণে এখন লুট অনেক কমেছে বলে দাবি জেলা প্রশাসকের।