১১ বছর পর শিবিরকর্মীর মরদেহ উত্তোলন, কবরে মিলল বুলেট সদৃশ বস্তু

Daily Ajker Sylhet

admin

১১ ডিসে ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ


১১ বছর পর শিবিরকর্মীর মরদেহ উত্তোলন, কবরে মিলল বুলেট সদৃশ বস্তু

স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর কবর থেকে মতিউর রহমান সজীব (১৭) নামের এক শিবিরকর্মীর লাশ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময়ে তার হাড়ের সঙ্গে একটি বুলেটসদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সজীব ওই এলাকার মৃত আব্দুল রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী এবং শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পারিবারিক কবরস্থান থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়। ওই সময় কবরে একটি বুলেট পাওয়া যায়।

এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ওই সময় কবর থেকে বুলেটসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। পরীক্ষার পর বলা যাবে, এটি বুলেট কি না।

২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সামনে জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীবসহ চারজন শিবির নেতাকর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা জামায়াত। পরে কোম্পানীগঞ্জে জামায়াতের চার নেতাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয় আদালতে। পরে আদালতের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয় কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপপরিদর্শক সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস ও উক্যসিং মারমাকে।

Sharing is caring!