মাধ্যমিকে বসেছে সোয়া ১৯ লাখ পরীক্ষার্থী

Daily Ajker Sylhet

admin

১০ এপ্রি ২০২৫, ১২:১৩ অপরাহ্ণ


মাধ্যমিকে বসেছে সোয়া ১৯ লাখ পরীক্ষার্থী

স্টাফ রিপোর্টার:
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এসএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র, দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ পরীক্ষা এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে। দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের আগমন লক্ষ্য করা গেছে। সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষা বোর্ড ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে উত্তরপত্রসহ প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম। নির্ধারণ করা হয়েছে সিট প্ল্যান। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক মাহামুদুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল হাই স্কুলের ছাত্রী। সকাল সাড়ে ৯টার আগেই কেন্দ্রে পৌঁছেছি। বাংলা পরীক্ষা তাই টেনশন নেই। পূর্ণ সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও প্রস্তুতিতে এমন সমস্যা হয়নি। কারণ বাচ্চারা পূর্ণ সময় পেয়েছে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খোন্দকার এহসানুল কবির বলেন, ‘প্রস্তুতি সম্পন্ন। কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আমাদের মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কোনো গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।’

এবারের পরীক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে আহত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি। গত বছরের জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত অনেক শিক্ষার্থীও এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। যারা হলে বসে লিখতে অক্ষম, তাদের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রফেসর ড. খোন্দকার বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে অক্ষম, তাদের বিষয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।’

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অভিভাবক ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছে শিক্ষা বোর্ড।

Sharing is caring!