আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার: হত্যাকারীরা পূর্বপরিচিত ধারণা পুলিশের

Daily Ajker Sylhet

admin

০২ অক্টো ২০২৩, ০৩:০৯ অপরাহ্ণ


আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী-সন্তানের লাশ উদ্ধার: হত্যাকারীরা পূর্বপরিচিত ধারণা পুলিশের

স্টাফ রিপোর্টার:
সাভারের আশুলিয়ায় বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে নিহত মোক্তার হোসেন বাবুলের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া ফকিরবাড়ী মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে তিনজনের গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেন বাবুল (৫০), তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। শাহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আশুলিয়ায় আলাদা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, ঘরে রান্না করা খিচুরি ছিল। এ ছাড়া ৫ থেকে ৬ কাপ চা খেয়েছে এমন চিত্রও দেখা মিলেছে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে অতিথি হিসেবে হয়তো হত্যাকারীরা ঘরে প্রবেশ করেছিল। শনিবার রাতে বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষ থেকে একই পরিবারের মা-বাবা ও সন্তানের গলাকাটা অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে নিহত মোক্তার হোসেন বাবুলের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মরদেহগুলো রাতেই উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিহত বাবুলের বড় বোন মনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাইটা জীবনে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছে। আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল বলে আমরা জানি না। থাকলে তো কখনো আমাদের একটু হলেও বলতো। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।

এদিকে ঘটনার পরপর গভীর রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি তাদের চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। অচেতন করার পর তাদের হত্যা করা হয়। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে প্রায় ৩৬ থেকে ৪০ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ শুক্রবার এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাদের কোনো কিছু খোয়া যায়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না হত্যার কারণ। সবগুলো বিষয় মাথায় নিয়েই তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব ও সিআইডির সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। আশা করছি খুব দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Sharing is caring!