“প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি”
১১ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৯ অপরাহ্ণ
এডভোকেট মোঃ আমান উদ্দিন :
মাননীয়, প্রধানমন্ত্রী, স্বশ্রদ্ধ সালাম গ্রহন করিবেন। সিলেট জেলার, বিয়ানীবাজার পৌরসভার খাসা গ্রামের আধিবাসী। পৌরসভার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার এবং পাশ্ববর্তী মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়দেশ, ঘুঙ্গাদিয়া, মালীগ্রাম ও নোয়াগাও যাহার ভোটের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় বিয়াল্লিশ হাজার। উভয় অংশের মোট জন সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার। বিশাল জনগোষ্টীর মধ্যে ২/৩ ব্যক্তির বদান্যতায় প্রতিষ্টিত হয়েছে, পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (ছাত্র), খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতন। তাছাড়া মেয়েদের লেখা পড়ার জন্য বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালায়, বড়দেশ-ঘুঙ্গাদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালায়, নিদনপুর সুপাতলা জুনিয়র বিদ্যালয় এবং বিয়ানীবাজার ফাজিল মাদ্রাসা। বিয়ানীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষাটজন, খলিল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যলয়ে প্রায় ষাটজন এবং বিয়ানীবাজার ফাজিল মাদ্রাসায় সীমিত সংখ্যক ছাত্র ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অবশিষ্ট ছাত্র ভর্তির সুযোগ না থাকায় জ্বরে পড়ছে।
মাননীয়,
প্রধানমন্ত্রী,
শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার ও জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ডহীন জাতী কোনদিন সোজা হয়ে দাড়াতে পারে না। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরী করে কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য আধুনিক এ সুযোগ সুবিদা করে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বিশাল এলাকার জনগোষ্টিকে শিক্ষিত ও আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তাদের ভবিষ্যত জীবনকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সংগতি রেখে আধুনিকায়ন করা সরকারের দায়িত্ব। শিক্ষিত সমাজ বিনির্মানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাই কথিপয় প্রস্তাবনা তুলে ধরাহলঃ (ক) পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ উচ্চবিদ্যালয় (পি.এইচ.জি) ১৯১৭ সালে প্রতিষ্টত হয়। বিয়ানীবাজারের অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী বিদ্যালয়টি। থানা সদরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত সরকার ঘোষিত প্রতিটি উপজেলায় একটি প্রতিষ্টান সরকারী করন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চখন্ড হরগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় (ছাত্র) সরকার সম্ভবত ২০১৯ সালের সরকারী করন করেন। সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত দেওয়া হয় সহ শিক্ষা ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রীদের সমান সুযোগ চালু করতে হবে। যেমনটি পি.এইচ.জি উচ্চবিদ্যালয়ে ষাটজন ছাত্র এবং ষাটজন ছাত্রী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তাহলে পৌরসভা ও আশ পাশে অবস্থিত বালিকা উচ্চ বিসদ্যালয়ে কেনো ছাত্রীদের পাশা-পাশি ছাত্র ভর্তি করা যাবে না?
এ প্রতিষ্টানের স্থাবর-অস্থাবর প্রচুর সম্পদ রয়েছে।সরকারী উদ্যাগে পৌরসভার ভিতরে নতুন বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করে কোমল মতি পড়ালেখার সুযোগ ছাত্র ছাত্রীদের কি উন্মুক্ত করা যায় না?
(খ) খলিল চৌধুরী আদর্শ বিদ্যানিকেতন সহ শিক্ষা চালু আছে। সীমীত জায়গার মধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রথমে কে .জি স্কুল প্রতিষ্টিত হয়, যা পরিবর্তীতে উচ্চ বিদ্যালয়ে রুপন্তিরত হয়। এখানেও সীমিত সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
(গ) বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়দেশ-ঘুঙ্গাদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বিধিমালায় পরিচালিত হচ্ছে। সরকার চাইলে, অল্প দিনে সরকারী ব্যবস্থাপনায় বালকদের শিক্ষা ব্যবস্থা সহজলভ্য করতেই পারেন। ঐ সব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশক্রমে সহ শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে কি ছাত্রদের সমস্যা সমাধান করা যায় না? পূর্ব পুরুষরা যেভাবে ১০/১২ কি.মি. পায়ে হেটে কষ্টকরে কিছু সংখ্যক লোক শিক্ষিত হয়েছেন, হাল আমলে কি সেই ১০/১২ কি.মি. পথ হেটে কি ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন না? তাও আবার এক লক্ষ পঁচিশ (প্রায়) হাজার জনগোষ্টীর মধ্যে কোমলমতি শিক্ষার্থী কি ১২০? বিয়ানীবাজার ফাজিল মাদ্রাসা।সীমিত ছাত্র ছত্রীদের পড়া লেখার ব্যবস্থা আছে। এসব প্রতিষ্টানে ভর্তি হতে চায়না কম মেধা শক্তি সম্পূর্ন ছাত্র ছাত্রীরা।
মাননীয়,
প্রধানমন্ত্রী,
আপনার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজামিনে তদন্ত করে এক লক্ষ পঁচিশ (প্রায়) হাজার জনগোষ্টীর প্রানের দাবী, বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন ও সমস্যা চিহ্নিত করনের সু-ব্যবস্থা করে জাতিকে শিক্ষার আলো জাগাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
লেখকঃ সভাপতি , সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)বিয়ানীবাজার, সিলেট।