আখাউড়া-আগরতলা রেলপথসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

Daily Ajker Sylhet

admin

০১ নভে ২০২৩, ০১:২৪ অপরাহ্ণ


আখাউড়া-আগরতলা রেলপথসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা-মোদি

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্পগুলো হচ্ছে-আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট।

এতে রেলপথে পণ্য পরিবহণ খরচ কম হওয়ায় দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

ঢাকা ও দিল্লির গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় দুদেশের সরকারপ্রধান এ প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেল সংযোগটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। রেলপথটির বাংলাদেশের অংশ ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয়।

অন্যদিকে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য পরিবহণ সহজতর হবে। এই রেলপথ দেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। দুই প্রতিবেশী দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষমতাসম্পন্ন।

রেলওয়ে মহাপরিচালক প্রকৌশলী কামরুল আহসান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ইতোপূর্বে ওই রুটে একাধিকবার পরীক্ষামূলক মালবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হয়েছে। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যেই এ পথে পুরোদমে মালবাহী ট্রেন চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে দুদেশের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে। আমরা এ রুটকে যথাযথ কাজে লাগাতে চাই।

জানা যায়, ট্রেনে ভারতের আগরতলা থেকে কলকাতা পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার, যা পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩১ থেকে ৩৬ ঘণ্টা। বর্তমানে আগরতলা থেকে আখাউড়া হয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কলকাতা যাতায়াতে দূরত্ব ও সময় উভয়ই কমবে। কলকাতা যেতে মাত্র ১০ ঘণ্টা সময় লাগবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে যে কোনো পণ্য আগরতলা হয়ে ভারতের যে কোনো রাজ্যে পৌঁছানো যাবে। একইভাবে ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন আগরতলা হয়ে আখাউড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সহজ হবে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে প্রথমবারের মতো কাস্টম-ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতাও শুরু হয়েছে।

Sharing is caring!