আদালত চত্বরে জঙ্গি ছিনতাই: দুই নারী ৫ দিনের রিমান্ডে

Daily Ajker Sylhet

admin

০৯ এপ্রি ২০২৩, ০২:২১ অপরাহ্ণ


আদালত চত্বরে জঙ্গি ছিনতাই: দুই নারী ৫ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার:
আদালত চত্বর জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জঙ্গি সোহেলের স্ত্রীসহ দুই নারীকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (৮ এপ্রিল) আসামি তাসনিম শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে (২২) আদালতে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী। আদালত থেকে জঙ্গিরা সদরঘাট হয়ে পালিয়ে ‘আনসার হাউজে’ অবস্থান নেয়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

রিমান্ড আবেদনের সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তারা (শিখা ও হুসনা) ২ জনই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের হদিস জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ছয় মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্ব পর্যায়ের নির্দেশে সংগঠনের আশকারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে। শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন। বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা জানাতেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ের ছয় মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্ব পর্যায়ের নির্দেশে সংগঠনের আশকারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে। শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন। বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা জানাতেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা থাকলেও তারা দুইজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউজে’ গিয়ে অবস্থান নেয়।

 

Sharing is caring!