কোমরে পিস্তল গুঁজে ছবি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় হাজির হতে নির্দেশ
২৬ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
কোমরে পিস্তল গুঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানায় হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নেতার কোমরে গুঁজে রাখা পিস্তলটি আসল না নকল, সে বিষয়ে তারা খোঁজ নিচ্ছে। আইন পরিপন্থী কোনো কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সুভ্রদেব সিং (২৫)। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কামারগ্রাম মহল্লার ঋষিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওহাব বলেন, ‘ওই পোস্ট দেখার পর থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পিস্তল আসল না নকল, সে বিষয়েও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। পাশাপাশি এ ঘটনার কী ব্যাখ্যা তিনি দেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
দলীয় কর্মীরা বলেন, গতকাল শনিবার সকালে একটি নীল রঙের একটি জামা পরে নিজের ফেসবুক আইডিতে সুভ্রদেব সিং একটি ছবি প্রকাশ করেন। ছবিতে তাঁকে পেছনের দিক থেকে দেখা যাচ্ছিল এবং তাঁর ডান কোমরে একটি কালো রঙের পিস্তলসদৃশ বস্তু গোঁজা ছিল। ছবিতে তাঁর মুখ দেখা যাচ্ছিল না। ছবির ক্যাপশনে এই ছাত্রলীগ নেতা লেখেন, ‘দেবেন যা পাবেন তা, ভাবনা চিন্তা কল্পনাহীন।’ এ পোস্টটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে পরে তিনি তা মুছে ফেলেন।
এ বিষয়ে সুভ্রদেব সিং বলেন, বোয়ালমারীর কাটাগড় এলাকার একটি মেলা থেকে তিনি এই খেলনা পিস্তল কেনেন তাঁর ভাতিজার জন্য। শখের বশে তিনি সেটি কোমরে গুঁজে ওই পোস্ট করেছিলেন। এরপর নানাজন নানা কথা বলেন। আসলে ছবিটা এভাবে দেওয়া তাঁর ঠিক হয়নি। ভুল হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় পোস্টটি তিনি মুছে ফেলেছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সুভ্রদেব উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকীর অনুসারী। এ বিষয়ে প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল কিনে সেই পিস্তলের ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করেছে সুভ্র। তবে একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে এ কাজটি শিশুসুলভ হয়ে গেছে। বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় এবং পুলিশ ও জনগণের ভ্রান্তি দূর করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোরতুজা আলী বলেন, এটা খেলনা পিস্তল হোক আর যা–ই হোক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। এতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংগঠন হিসেবে এ দায়ভার তাঁরা নেবেন না। উপজেলা ছাত্রলীগ দ্রুত জরুরি সভা আয়োজন করে এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।