Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘অল আউট’ আন্দোলনের বার্তা বিএনপির

admin

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৩ | ০১:১১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০১ মে ২০২৩ | ০১:১১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
‘অল আউট’ আন্দোলনের বার্তা বিএনপির

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ‘অল আউট’ আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। তারা সরকারকে আর সময় দিতে চায় না। এজন্য গতানুগতিক কর্মসূচি না দিয়ে রোডমার্চ, লংমার্চের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছে। সব শেষে ঢাকামুখী কর্মসূচি, অর্থাং ঢাকা ঘেরাও ও গণভবন বা সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিতে চায়। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকে রোববার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এদিন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বিএনপি নেতারা বিকাল ৪টা থেকে ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন। পরে বিকাল ৫টা থেকে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে ১ ঘণ্টার বৈঠক হয়। ২ ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে বিএনপি নেতারা আরও বলেছেন, সময় বেশি নেই। জুনের পর এইচএসসি পরীক্ষা ও বর্ষাকাল। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। তাই কুরবানি ঈদের আগেই দাবি আদায়ে যা যা করার দরকার তাই করা হবে। জনগণের প্রত্যাশার বিচ্যুতি হলে তাদের থেকে বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে বলেও বৈঠকে জানান বিএনপি নেতারা।

১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, চূড়ান্ত আন্দোলনে জন্য করণীয় বিষয়ে জোট নেতাদের পরামর্শ নিয়েছে বিএনপি। সরকারকে আর সময় দেওয়া হবে না। তাই শিগগিরই চূড়ান্ত কর্মসূচি আসবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। দাবি আদায়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে থেকেই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিজয় লাভ করব।

Manual1 Ad Code

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, এ সরকারকে বিদায় করার জন্য চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়া হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির কারী মো. আবু তাহের, জমিয়ে উলামায়ে ইসলামীর মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সুকৃতি মন্ডল, জাগপা একাংশের খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্য জোটের মাওলানা আব্দুল রকিব, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম প্রমুখ। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এসেছে। সবাই মিলে কীভাবে আরও কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা যায়, সফল করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

Manual4 Ad Code

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চূড়ান্ত কর্মসূচিতে যাচ্ছি। আমরা আন্দোলনে জয়ী হবই। সরকার এখন দিশেহারা হয়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। দেশের জনগণসহ বিশ্ববাসী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। তাদের সে আশা পূরণ হবেই।

 

Manual8 Ad Code

শেয়ার করুন