হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

Daily Ajker Sylhet

admin

৩০ এপ্রি ২০২৩, ০৫:২৭ অপরাহ্ণ


হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বাহুবল ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছে।

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের হবিগঞ্জের বাহুবলে গাড়ি চাপায় এলাইছ মিয়া নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বশিনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এলাইছ মিয়া উপজেলার বশিনা গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে।

বাহুবল মডেল থানার (ওসি) রাকিবুল ইসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাইছ মিয়া পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক ছিলেন। প্রতিদিনের মতো সকালে সে তার সিএনজিটি মিরপুর গ্যারেজ থেকে নিয়ে আসার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় বশিনা এলাকার বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি তাকে চাপ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ট্রলি চাপায় আমিরুল মিয়া (৪০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের শিবপাশা গ্রামের শান্তিপুর-নোয়াপাড়া সড়কের পশ্চিম ধার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আমিরুল মিয়া শিবপাশার উত্তর বন্দের হাটীর মাফিজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনামুল হক মিলাদ জানান, রবিবার দুপুরে আমিরুল মিয়া এবং তার পিতা মাফিজ মিয়া ধান মাড়াইয়ের মেশিন নিয়ে হাওড় থেকে শান্তিনগর-নোয়াপাড়া সড়ক দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে একই এলাকার মাইঝের হাটী গ্রামের উছমান মিয়ার পুত্র হুসেন মিয়া (৩৫) ট্রলি চালিয়ে আসছিলেন। রাস্তা সরু হওয়ায় ট্রলি ও ধান মাড়াইয়ের মেশিন পাড়াপাড় নিয়ে হুসেন মিয়া ও আমিরুল মিয়ার মধ্যে বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এসময় হুসেন মিয়া চলন্ত ট্রলি দিয়ে ধান মাড়াইয়ের মেশিনে ধাক্কা দিলে মেশিনের নিচে পড়ে ঘঠনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমিরুল মিয়ার।

খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ আলমগীর কবির ঘঠনাস্থলে গিয়ে আমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

 

Sharing is caring!