Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রীকে হত্যা, ৫ মাস পর স্বামী গ্রেপ্তার

admin

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রীকে হত্যা, ৫ মাস পর স্বামী গ্রেপ্তার

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী সর্জিনা আক্তারকে (২০) হত্যার অভিযোগে স্বামী হাসান আকন্দকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট।

Manual5 Ad Code

বুধবার (১২ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসারা দক্ষিন লস্করপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন স্ত্রী। নিহতের নাম সর্জিনা আক্তার (২০), তার স্বামী হাসান আকন্দকে (২৭)। হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট।

Manual3 Ad Code

গতকাল মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসারা দক্ষিণ লস্করপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হাসান আকন্দের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মাঝপাড়া আকন্দ বাড়ী এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম। হাসান তার স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা আয়েশার মার গলি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

Manual1 Ad Code

পিবিআই সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী সর্জিনা আক্তার ইপিজেড এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তার স্বামী হাসান রিকশা চালাতেন। তাদের সাত মাস বয়সী মো. হাসিব নামে একজন ছেলে রয়েছে। সর্জিনা একটু চঞ্চল ছিলেন এবং তার স্বামী হাসানের রিকশা চালানোটা তিনি পছন্দ করতেন না। অন্যদিকে স্ত্রীকে হাসান একটু সন্দেহ করতেন। এছাড়া হাসান সর্জিনা আক্তারের আত্মীয়স্বজনের বেড়াতে আসাটা পছন্দ করতেন না। আবার সর্জিনা আক্তারকেও হাসানের বাবা-মা দেখতে পারতেন না। এজন্য চাইলেও সর্জিনাকে হাসান তার বাড়িতে রাখতে পারেননি। সবমিলিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো।

সবশেষ গত বছরের ৩ নভেম্বর সর্জিনার মামা তাদের বাসায় বেড়াতে আসেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বাসায় মেহমান আসা নিয়ে হাসানের সঙ্গে সর্জিনার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সর্জিনাকে মারধর এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাসান। পরে সর্জিনার মরদেহ ঘটনার দিন রাতে ভাড়া ভাসার ছাদে থাকা পানি ট্যাংকে ফেলে দেয় হাসান। পরদিন তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনার দুদিন পর ৫ নভেম্বর সর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ইপিজেড থানায় স্বামী হাসানকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হাসানকে গ্রেপ্তারে ছায়াতদন্ত শুরু করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট। তবে তিনি মোবাইলসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করায় কোনোভাবে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। উপরন্তু তিনি ঘনঘন স্থানও পরিবর্তন করেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, হাসানকে গ্রেপ্তারে আমরা প্রথমে প্রথাগত সোর্সের সহায়তা নিই। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করি। মাসখানেক আগে তাকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় শনাক্ত করা হয়। তবে তিনি সুমন ছদ্মনামে সেখানে অবস্থান করতেন। যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হই সুমনই হাসান। পরে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন