Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজারে ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্টান মাস্টার মাইন্ড নিয়ে নানাকথা

admin

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩ | ০৮:২৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ | ০৮:২৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বিয়ানীবাজারে ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্টান মাস্টার মাইন্ড নিয়ে নানাকথা

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
মাস্টার মাইন্ড। বিয়ানীবাজার পৌরশহরের একটি ইংরেজি শিক্ষা (আইইএলটিএস কোর্স পাঠদানকারি) প্রতিষ্টান। গত কয়েকদিন থেকে এই প্রতিষ্টানের ভিতরে সংগঠিত একটি ভয়ঙ্কর তথ্য ঘুরপাক খাচ্ছে টিনএজ মনে। কি হয়েছিল এই প্রতিষ্টানে, কেন এমন হল, কারা এই ঘটনায় জড়িত-তার কোন সূরাহা মিলছেনা কারো কাছে। এমন ঘটনায় মাস্টার মাইন্ডে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরণের ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

অভিযোগ ওঠেছে, গত কয়েকদিন আগে মাস্টার মাইন্ড-নামক প্রতিষ্টানের শৌচাগারে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখেন প্রতিষ্টানের তৎকালীন ব্যবস্থাপক জামিল হোসেন। এই ক্যামেরায় অনেক শিক্ষার্থীর গোপন ভিডিও ধারণ করা হয়েছে বলে টিনএজরা বলাবলি করছে। বিয়ানীবাজার পৌরশহরের প্রমথ নাথ দাস (কলেজ রোড) এলাকার ইনার কলেজ রোডে এই প্রতিষ্টানের কার্যালয়। গত প্রায় ৫-৬ বছর থেকে মাস্টার মাইন্ড পরিচালনা করছেন আতিকুর রহমান। তিনি এই প্রতিষ্টানের শিক্ষকও বটে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। মাস্টার মাইন্ডে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আইএলটিএস কোর্সে পাঠগ্রহণ করছে। এই কোর্স গ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে চলে যায়।

Manual4 Ad Code

 

বিয়ানীবাজার পৌরশহরে আইএলটিএস শিক্ষা প্রতিষ্টানের কদর খুব বেশী। স্থানীয় পৌরসভা থেকে ব্যবসায়িক অনুমতিপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্টরা আধুনিক সাজসজ্জায় প্রতিষ্টান পরিচালনা শুরু করে। মাঝে মধ্যে তারা জমকালো অনুষ্টান করে শিক্ষার্থীদের বিদায় দেয়-বরণ করে। প্রতিষ্টানভেদে আইএলটিএস কোর্স শেষ করতে হলে ৭-১০হাজার টাকা ফি’ নেয়া হয়।

 

Manual7 Ad Code

মাস্টার মাইন্ডের পরিচালক আতিকুর জানান, কিছু আপত্তিকর ছবি পাওয়ার পর ব্যবস্থাপক জামিলকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ছবিগুলো গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা কি-না, তা তিনি বলতে পারেননি। মাস্টার মাইন্ডের শৌচাগারে ক্যামেরা লাগানোর তথ্য সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।

Manual8 Ad Code

 

বিষয়টি সোমবার সকাল থেকে ফের নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাস্টার মাইন্ডের নাম উল্লেখ করে তির্যক মন্তব্য পোস্ট করছেন।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত: ৩০টি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্টান চালু আছে। এগুলো তদারকির জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এই প্রতিষ্টানগুলোর জবাবদিহিতাও নেই কারো কাছে। তবে এসব প্রতিষ্টান থেকে আইএলটিএস কোর্স শেষ করে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

Manual7 Ad Code

 

অভিযোগ আছে, ২-১টি প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীরা নানা আপত্তিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়। নির্ধারিত ক্লাসের আগে উপস্থিত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী প্রেম নিবেদন করে। এসব প্রতিষ্টানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আরো সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

শেয়ার করুন