প্রয়োজনে হজের জন্য ভর্তুকি দিতে হবে: জিএম কাদের

Daily Ajker Sylhet

admin

০৭ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ


প্রয়োজনে হজের জন্য ভর্তুকি দিতে হবে: জিএম কাদের

স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দুর্নীতির কারণেই হজযাত্রীদের জন্য জনপ্রতি প্রায় ৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য খরচসহ এই খরচ ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা হতে পারে।

তিনি বলেন, আগে হজে নিবন্ধনের জন্য মানুষ তদবির করত, এখন হাজার হাজার মানুষ নিবন্ধন বাতিল করছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ১৭ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছিল হজের জন্য। সময় বাড়ানোর কারণে এখন মাত্র ৫০ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় প্রায় অর্ধেক খরচে সেদেশের মানুষ হজ পালন করতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ১ লাখ ২৭ হাজার জনই যেন নির্বিঘ্নে হজে যেতে পারেন। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিতে হবে হজের জন্য। হজ ফান্ড করতে হবে। আমরা সবাই হজ ফান্ডে টাকা দিতে চাই। দেশের মানুষ হজের জন্য ফান্ডে টাকা দিতে প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষ সাধ্যমতো সহায়তা দিতে রাজি আছেন। দেশের মানুষ যেন অর্ধেক খরচে হজে যেতে পারেন। সেই উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।

সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কারও স্বার্থরক্ষার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি জনগণের স্বার্থরক্ষার জন্য। জনগণের পছন্দে জনপ্রতিনিধি হতে হবে। আমরা জনগণের সব অধিকার রক্ষা করতেই রাজনীতি করছি। আমরা কোনো দলের বি-টিম নয়। আমরা গণমানুষের টিম হতে রাজনীতি করছি।

জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ছে না; কিন্তু প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে পারছে না। এখন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু ক্রেতা নেই। গরুর মাংস প্রায় ৮০০ টাকা হয়েছে। অথচ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়ে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। আমদানিকারকরা চিনির কেজি ৫০০ টাকা ঘোষণা করলে, সেই দামেই চিনি কিনতে হবে। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। গ্রামের মানুষ বাজার করতে পারছে না। খুব সামান্য মানুষ ভালো আছেন। দেশের বেশির ভাগ মানুষই অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে। তারা বারবার ক্ষমতায় গিয়ে ইচ্ছামতো দেশ চালিয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি ও দলবাজির কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। ওই দুটি দলের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তারাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। আবার যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে, তারাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। দুটি দলই প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পক্ষে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানী।

উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. সেলিম উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা প্রমুখ।

Sharing is caring!