আগামী বছর থেকে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার

Daily Ajker Sylhet

admin

২৪ এপ্রি ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ণ


আগামী বছর থেকে এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার

স্টাফ রিপোর্টার:
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এখনকার মতো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নাম থাকলেও পরিবর্তন করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি। থাকছে না অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক মূল্যায়নের ধরন। ১০ বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টার। লিখিত ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ।

গত ২২ এপ্রিল মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নিয়মিত বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কমিটি। বৈঠকে খসড়া সুপারিশ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। সেখানে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

কমিটি তাদের এই সুপারিশ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দেবে। তারপর আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পূর্বনির্ধারিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভায় অনুমোদনের জন্য তা তোলা হবে। সেই কমিটির অনুমোদন পেলে নতুন মূল্যায়ন কাঠামো সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গত ৫ মার্চ গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এই পাঠ্যসূচির ওপরই অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। বিষয়ের চাহিদা ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট ইত্যাদির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে পরীক্ষার্থীদের। মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে।

প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ৭ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে এনসিটিবিরও একটি কমিটি ছিল। সেই কমিটি একটি সুপারিশ মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কাছে জমা দিয়েছে। এগুলো এখনো চূড়ান্ত নয়। আরও পর্যালোচনা করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন কারিকুলামে পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতির কিছু সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনো সুপারিশ জমা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কাজ চলছে। প্রতিবেদনটি শিগগির চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

Sharing is caring!