তরুণ আইনজীবী থেকে ক্ষমতার সিংহাসনে বসেন রাইসি

Daily Ajker Sylhet

admin

২০ মে ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ


তরুণ আইনজীবী থেকে ক্ষমতার সিংহাসনে বসেন রাইসি

অনলাইন ডেস্ক:
ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট তিনি। একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।

রাইসির আমলেই দেশটিতে হয়েছে অনেক আন্দোলন। হিজাব ইস্যু, মধ্যপ্রাচ্য-লেবানন, ইসরায়েল ইস্যুতে ভূমিকা ছিল তার।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। ইরানের আইন, সংবিধান এবং ধর্মীয় বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম রাইসির পেশাদার জীবন শুরু হয় প্রসিকিউটর জেনারেল হিসেবে, তাও মাত্র ২০ বছর বয়সে। কারাজ শহরের কৌশুলি হিসেবে ওই দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

মূলত তখন থেকেই ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল এবং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিতি পান রাইসি। পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এই সভা।

২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। নিজেকে দুর্নীতি অদক্ষতা ও অভিজাতদের ঘোর বিরোধী হিসেবে প্রকাশ করা রইসি রাজনৈতিক দিক থেকে শিয়া ইসলামি কট্টরপন্থার সমর্থক।

তবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ঘরে-বাইরে নানামুখি চাপের মধ্যে পড়েন ইব্রাহিম রাইসি। নতুন করে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে। ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেশটিতে বিক্ষোভ হয় দফায় দফায়।

২০২২ সালে ইরানি তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পোশাকের স্বাধীনতা ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। যাতে প্রাণ যায় সাড়ে ৫শ’র বেশি মানুষের। ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি চাপের মুখে পড়েন রাইসি। যদিও পরে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়্ন্ত্রণে আনেন তিনি।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার পেছনে রাইসি প্রশাসনের ভূমিকাকেই দায়ী করে আসছে তেল আবিব। ইরান-ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিস্থিতিও কৌশলী হাতে সামলেছেন রাইসি।

Sharing is caring!