‘এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক’ নিয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহের মা
০৭ সেপ্টে ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর ঢালিউডের চুপ হয়ে যাওয়ার দিন। বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের মাতমের দিন। কেননা ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা সিলেটের সালমান শাহ। বছর ঘুরে দিনটি এলেই তার অনুরাগী ও সহকর্মীদের হৃদয় বেদনার নীল জলে ভেসে যায়। শোক হয়ে ওঠে স্রোতস্বিনী কোনো নদী।
এদিকে মৃত্যুর ২৮ বছরেও হয়নি তার রহস্যের সমাধান। হয়নি বিচারও। আজও তার মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলে যাচ্ছেন। তাকেও নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। প্র্যয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তার। রটেছিল নানা রটনা। এবার এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন সালমানমাতা।
লন্ডন থেকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই হত্যার বিচার করা প্রয়োজন। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানাভাবে অপমান করা হয়েছে আমাকে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে মিলে আমিই নাকি খুন করেছি সালমান শাহকে।’
এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আমলে অনেক বদনাম রটানো হয়েছিল আমার নামে। এরশাদ সাহেব জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার বাসায় আসেন। কিন্তু আমি শুরুতে ওনাকে আমার বাসায় আসতে দিইনি। পরে উনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, তোমার ছেলে যদি দরজায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকত তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে? আমি তো জেল থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পেলাম। এরপর আমার স্বামী গিয়ে দরজা খুলে দিল। এভাবে আমাদের বাসায় ওনার আসা-যাওয়া শুরু হয়। এরশাদ সাহেব আমাকে তার মায়ের সঙ্গে তুলনা করতেন। আমার আচরণের সঙ্গে নাকি তিনি তার মায়ের মিল খুঁজে পান।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় সব জায়গাতেই সালমান শাহর ভক্ত আছে। ডিজিএফআই, এনএসআইতেও আছে। ডিজিএফআই থেকে আমাদের একটা সময় বলা হলো, যদি এরশাদ সাহেব আপনাদের বাসায় যাতায়াত করে, তাহলে এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের আলাদা একটা নজর থাকতে আপনাদের ওপরে। এতে করে আপনাদের জীবনের ঝুঁকি কমে যাবে। ঠিক এ কারণেই এরশাদ সাহেব প্রায় আমাদের বাসায় আসতেন। আমার সঙ্গে তার কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। উনি ভীষণ ভালো একজন মানুষ ছিলেন, আমাকে সব সময় তার মায়ের সঙ্গেই তুলনা করতেন তিনি।’