Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইভিএমে আপত্তি নেই আনোয়ার-বাবুলের, মাহমুদুলের সন্দেহ-শঙ্কা

admin

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইভিএমে আপত্তি নেই আনোয়ার-বাবুলের, মাহমুদুলের সন্দেহ-শঙ্কা

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে সিলেটে। নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন কিনেছিলেন ১১ জন। তবে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। আপিলেও তারা বাতিল হলে বাকি ৬ জনই লড়বেন সিসিক নির্বাচনে।

তবে এই ৬ জনের মধ্যে মূল আলোচনায় রয়েছেন তিন জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাপা’র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

এদের মধ্যে নৌকার আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও লাঙ্গলের নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে ইভিএম নিয়ে শঙ্কা না থাকলেও রয়েছে হাতপাখা’র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের মধ্যে। এছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এই প্রার্থীর মাঝে।

Manual8 Ad Code

গত ২৫ মে মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবং বিভিন্ন সভায় নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন- ‘দেশে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে না। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচনে অনেক স্থানে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা পরাজিতও হয়েছেন। যে কারণে দেশে-বিদেশে ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রশংসিত। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। বিগত সিটি নির্বাচনেও সিলেটের কয়েকটি সেন্টারে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ভোটাররা সঠিকভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। তাই যারা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা হয়তো অজ্ঞ অথবা ইচ্ছা করেই আগেভাগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন।’

এদিকে, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুল জানিয়েছেন- ইভিএম নিয়ে তার কোনো প্রশ্ন নেই। তবে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তার সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। নৌকার প্রার্থী বিভিন্ন নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও দায়িত্বশীল রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বিকার। বিষয়গুলো তিনি দেখেও দেখছেন না।

তিনি বলেন- এমন চলতে থাকলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবো।

নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর ওপর শতভাগ আস্থা রেখে নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা সংশয় আছে। তবে আমি আশাবাদী এ পুণ্যভূমিতে কোনো কারচুপি হবে না। এখানে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’

Manual4 Ad Code

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানে যাতে ভোটারদের ফিঙ্গার নিয়ে কোনো ঝামেলা না হয় সে ব্যাপারে তিনি আগেভাগে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

এই দুই প্রার্থীর ইভিএমে স্বস্তি থাকলেও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এছাড়া সিটি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহমুদুল বলেন- ‘নির্বাচনের এখনো প্রায় এক মাস বাকি। সবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে পরিবেশ ঘোলাটে হতে শুরু করেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এখনই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে জোর করে হলেও পাস করাতে হবে- এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।’

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ও নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কেবল পাঁচজনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শোডাউন করে এসেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় অন্তত ৫০ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। নির্বাচন কমিশন তাদের কোনোরকম বাধা দেয়নি।’

সরকারদলীয় প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের লোকজন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিধান না থাকলেও তারা প্রতিদিনই অংশ নিচ্ছেন। সিলেটের বাইরে থেকে এসেও সংসদ সদস্যরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে আগামীতে কতটুকু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

ইভিএম নিয়ে সন্দেহ ও শঙ্কা রয়েছে জানিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাধারণ ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত নন। মানুষ ইভিএম চায় না, তারা ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ইভিএমের মাধ্যমে মানুষ স্বচ্ছন্দে ভোট দিতে না পারলে ভোটার উপস্থিতি কমে যেতে পারে।’

Manual7 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন