মেসির ১ ও সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক গোল উৎসব মায়ামির
০৫ মে ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক:
সুয়ারেজের হ্যাটট্রিক ও লিওনেল মেসির এক গোলে নিউইয়র্ক রেড বুলসের জালে গোলউৎসব করেছে ইন্টার মায়ামি। প্রতিপক্ষকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে মেসিরা।
এরআগে নিজেদের মাঠে নিউইয়র্ক রেড বুলস ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। সেদিন চোটের কারণে দলের বাইরে ছিলেন মেসি। আজকের ম্যাচে আর্জেন্টাইন এই তারকাকে ফিরে পেয়েই প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। ঘরের মাঠ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে ৬-২ গোলের বিশাল জয় পায় মায়ামি।
তাদের প্রতিশোধের এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লুইস সুয়ারেজ। আর মেসি এক গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন। মায়ামির অন্য দুটি গোল করেছেন প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাস।
মায়ামি বিশাল জয় পেলেও ম্যাচের শুরুটা ছিল অন্যরকম। ৩০ মিনিটে দান্তে ভানজেইরের গোলে এগিয়ে যায় রেড বুলস। প্রথমার্ধে সেই গোল শোধ দিতে পারেনি মায়ামি। সেই সময় মনে হচ্ছিল বৃথাই যাচ্ছে মার্তিনোর হুমকি। রেড বুলসের কাছে হয়তো আরেকটি হারের হতাশাই সঙ্গী হবে মেসি-সুয়ারেজদের।
কিন্তু বিরতির পর ফিরে যেন স্বরূপটা ফিরে পান মায়ামির খেলোয়াড়রা। মার্তিনোর একটা বদলিও বেশ কাজে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তিনি মাঠে নামার প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার রোহাসকে।
মাঠে নামার ৩ মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান রোহাস। মেসির একটি পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে গোলটি করেন তিনি। ২ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান মেসি। সুয়ারেজের পাস থেকে মেসির করা গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি।
৬২ মিনিটে মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন রোহাস। এরপর ম্যাচটি হয়ে পড়ে অনেকটা মেসি-সুয়ারেজময়। ১৩ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুয়ারেজ আর তাঁর সেই তিন গোলে অবদান রাখেন মেসি।
সুয়ারেজ তার প্রথম গোলটি করেন ৬৮ মিনিটে। এরপর ৭৫ ও ৮১ মিনিটের গোলে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রেড বুলসের ব্যবধান কমান এমিল ফোর্সবার্গ।
এই তিন গোলে এমএলএসে উরুগুইয়ান তারকার গোল দাড়ালো ১০ এ। চলতি লিগে মেসির গোলও ১০। তবে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের অ্যাসিস্ট দাঁড়িয়েছে ১৩ তে। এমএলএসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান রাখার রেকর্ড গড়লেন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান আরও সুদৃঢ় করলো ইন্টার মায়ামি।